Wednesday, 19 October 2016

প্রবাসে লক্ষী পুজো।





দূর্গা পুজো তো হৈ হৈ করে কাটলো। এরপর ভাবনা ছিল লক্ষী পুজো নিয়ে। লক্ষী পুজোর সাথে একটা অন্যরকম ঘরোয়া আত্মিক যোগ আছে আমার। ছোট্টবেলা থেকে মার বাম হাত হিসেবে এই লক্ষী পুজোতে আমার বিশেষ ভূমিকা থাকতো। তাই , লক্ষি পুজোর দিন পাঁচালি পড়বো না, এটা জাস্ট ভাবতে পারিনি। ভাবলাম লক্ষী পুজোটা সেরেই ফেলি। কিন্তু ওই যে ভাবলে তো হবে না ।করতেও হবে ভাবনাকে সফল। এখানে তো আর আমার পাপা নেই, যে দশকর্মার ফর্দ আর পূজা সামগ্রীর লিস্ট ধরিয়ে দিলাম ব্যাস হাতের কাছে এসে পড়বে সব ঝোটাকসে । আমি যখন নিজেই আমার এখানের ছোট্ট বাড়ির হর্তা কর্তা বিধাতা, এই পুজোর আগ্রম বাগ্রাম ও আমাকেই কিনতে হবে। এবার হলো, কান্নাডাতে দশকর্মা কেনার পালা। ঠাকুর ও। অনেক কষ্টে, কলকাতা ধাঁতের ঠাকুরের একটা ফটো জোগাড় করলাম। ধান কে Dhanya , অম্রপল্লব কে Mavena elle, দূর্বা কে Garike বলে বাকি যাবতীয় সামগ্রীও জোগাড় করেই ফেললাম (ক্রেডিট : আমার কান্নাডিগা টীম মেট এর)। পাঁচালিটা আগের দিন অনলাইন থেকে প্রিন্ট করিয়েই  নিয়েছিলাম। এবার ছিল ঠাকুর কে মিষ্টি দেওয়ার পালা। অসম্ভব লাকি মনে হয় নিজেকে, যখন ভাবি বাড়ির পাশেই "তৃপ্তি সুইট্স - বাঙালি মিষ্টান্ন ভান্ডার " নামের একটা দোকান আছে। সীতাভোগ, মিহিদানা, কালাকান্দ আর মিষ্টি দই কিনে ফেললাম আর কি।
আলপনাও আঁকলাম ছোট্ট করে। ব্রাহ্মণ পুরুত পেলাম না ঠিক ই। কিন্তু, মা এতেই সন্তুষ্ট হবেন। হবেন না বলুন ? যাই হোক. সন্ধ্যে বেলাতে পূর্ণিমার গোল চাঁদ দেখতে দেখতে যখন নিজের বানানো খিচুড়ি, আলুর দম আর বেগুন ভাজা খাচ্ছি, তখন একটা জিনিসের কথাই মনে পড়ছিলো। গুড়ের নাড়ু।  নাড়ুর গুড়কে কোন vellam এর ক্যাটাগরি তে ফেলবো সেটা জাস্ট বোঝা হয়ে উঠলো না। নইলে হয়তো ষোলো কলা পূর্ণ হতো।





Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

No comments:

Post a Comment

Thanks for reading the post and if you like it then don't forget to fill a comment and send that to me .