Seldom it happens that someone's demise whom you never knew closely or have met in life impacts you so much. Today is such day. I am devastated and most of Indians are. Right next day of Vasant Panchami, Maa Saraswati left her physical existence and attained salvation from all bodily suffering . For past 8 decades, India as well as the World has found the Goddess of music as a lively soul. Being an Art Enthusiast, it was always an admiration for me towards her to attain the 1% devotion she has done to her music while living a most simple lifestyle. In the world of Pseudo Artists and maintaining fake personal relationships and unneeded marketing, these few artists were the ones who we could look up to for constant spiritual ignition that pure devotion to Art can do wonders without glittering and sugar coating much. Today is the day to understand that truth. India is mourning to lose the living Saraswati of this century and we all are understanding the worth of real devotion. Bygone era was the constellation of all pure musical souls and one after another stars are falling down. Everything is becoming History now.
Sunday, 6 February 2022
Mata Saraswati Sharda
Wednesday, 15 December 2021
In Search for Infinity
Have you ever sensed the longing for infinity ? Something that is so far beyond your reach but you cherish to gaze at them right from the distant. It is not specifically about any material or any wish, it's just the search of something which is very far. Something that would never come back or would be never be nearer.
How do you feel when you gaze at the sky full of stars, or if you try to look for a trail of mountain or hill with naked eye ? How does it feel when a train goes by from far and you just see moving bogies in a blink of eye. It makes me calm. I always wonder about the people who are there at those places whom I am never going to meet or may be would meet. The feeling of void inside the mind during these tiny moments are haunting.
When I was in hostel almost 12 years back, I had my own comfort zone which was hidden from others. A dark corner of hostel terrace from where I could gaze at small houses by the next paddy field, and seeing the people doing their household chores made me happy every time. Right now where I am living, there are some slums nearby. The kids play without E-devices just like I used to play or anyone from our generation did. They make me happy. They play with puppies, tiers and something or the other. From the top floor they look tiny altogether but last weekend I spotted all the girls dolled up well with nice dresses and were playing with each other with joy. The Simplicity of longing for something which is far and which is never going to be with me is pleasing :)
I don't know how many years it had been that I have opened this editor to scribble here. Is anyone here from my old readers ? If anyone is reading, just ignore. This was my ultimate space for rambling things. I am doing the same. It's just felt to write down quickly.
Good night
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
How do you feel when you gaze at the sky full of stars, or if you try to look for a trail of mountain or hill with naked eye ? How does it feel when a train goes by from far and you just see moving bogies in a blink of eye. It makes me calm. I always wonder about the people who are there at those places whom I am never going to meet or may be would meet. The feeling of void inside the mind during these tiny moments are haunting.
When I was in hostel almost 12 years back, I had my own comfort zone which was hidden from others. A dark corner of hostel terrace from where I could gaze at small houses by the next paddy field, and seeing the people doing their household chores made me happy every time. Right now where I am living, there are some slums nearby. The kids play without E-devices just like I used to play or anyone from our generation did. They make me happy. They play with puppies, tiers and something or the other. From the top floor they look tiny altogether but last weekend I spotted all the girls dolled up well with nice dresses and were playing with each other with joy. The Simplicity of longing for something which is far and which is never going to be with me is pleasing :)
I don't know how many years it had been that I have opened this editor to scribble here. Is anyone here from my old readers ? If anyone is reading, just ignore. This was my ultimate space for rambling things. I am doing the same. It's just felt to write down quickly.
Good night
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Tuesday, 24 March 2020
রাতের হলুদ ট্যাক্সি
এই লেখাটা লিখেছিলাম আজ থেকে ছয় বছর আগেই, জানুয়ারি ২০১৪ সাল। লিখেছিলাম কোনো সংবাদ পত্রের লেখনী প্রতিযোগিতার জন্য, আদৌ চিঠি পৌঁছেছিল কিনা আমি জানি না আর যদি পৌঁছে গিয়েও থাকে, তাহলেও হয়তো খবরের পাতায় প্রকাশ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেনি। তাই এই লেখা গুলো 'অপ্রকাশিত' রয়ে গেছে। এরকম অনেক গল্প বা লেখনী আছে যা আমি এই 'অপ্রকাশিত' সংকলনে যোগ করতে চলেছি। আজকের তৃতীয় লেখা যেটা আমি যোগ করছি সেটা একটা সূত্রের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিভাগ - রহস্য।
Flickr |
" অনিল, কী গো ? আজ বাড়ি যাবেনা ? নাকী এখানেই থেকে যাওয়ার ইচ্ছে আছে ?" - ম্যানেজার এর গলাটা শুনতেই ঘড়ির দিকে তাকালাম ।টনক নড়ল আজ স্বাভাবিকের থেকে ৩ ঘন্টা বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে ফেলেছি ।যদিও এই উপলব্ধি প্রথম বারের নয় । কম্পিউটার ও ডান হাতে ধরা ইঁদুরের ল্যাজ আমার জীবনের একটা প্রত্যঙ্গই বটে ।যাক ম্যানেজার সদয় হয়েছেন আমার প্রতি , তাও বা কম কীসের ?
এই সময় বেরোনো মানে যাতায়াতের টানাপড়েন । শাটল কিংবা ট্যাক্সি ই সহায় । ঐতো একটা ট্যাক্সি আসছে। চেঁচিয়ে উঠলাম "ট্যাক্সি ও ট্যাক্সি"।ট্যাক্সি দাড়াতেই জিজ্ঞেস করলাম - "১নং গেট যাবে ?"। আবছা অন্ধকারে নীরব মূর্তিটি হাঁবাচক মাথা নাড়তেই উঠে পরলাম ট্যাক্সিতে। বসতে বসতেই শরীর দিলাম এলিয়ে। রাতও হয়েছে । পেটেও পড়েনি তেমন কিছু। মেসে গিয়ে কি খাব ভাবতে ভাবতেই চোখ পড়ল ড্রাইভার এর সিটের পিছনে লেখা ছোট সাদা নম্বরগুলোর দিকে । নম্বরটা দেখেই খুব চেনা চেনা মনে হল। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম - "ও ভাই এইটা কি এই ট্যাক্সির নম্বর ?" - উত্তর এলো "হাঁ" । হঠাত্ রাস্তার হ্যালোজেন আলো ট্যাক্সির ভিতরে আছড়ে পড়ায়ে ড্রাইভার এর মুখটা স্পষ্ট দেখতে পেলাম । আমার বুকটা ধড়াস করে উঠলো । একটা শীতল কনকনে প্রবাহ আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নীচে নেমে আসল ।
এই মুখ আমার চেনা। এই চেনা মুখের সাথে ড্রাইভার এর চেহারা রুবি কিউবের মতন মিলে গেল। সেই দিনটাকে ভোলা যায়েনা। আজ থেকে মাস পাঁচেক আগের কথা। ম্যাক ডোনাল্ডস্ এর অর্ডার কাউন্টার এ আমার পাশের লাইন এ দাড়ানো মেয়েটির আতঙ্কিত মুখ আমার চোখে এখনো ভাসে। কাঁপা,ভয় মাখানো কন্ঠস্বরে অর্ডার দিতে এসেছিল মেয়েটি। ভীরু চোখ দুটো কেবল একটি টেবিল কেই দেখে যাচ্ছিল বার বার। শীর্ণ জীর্ণ মেয়েটির পরনে ছিল একটা অতিসাধারণ কুর্তি ও পায়েজামা। চুল ছিল এলোমেলো। মুখে আঘাত ও ক্ষতের দাগ ছিল অগুনিত। নখের আঁচর ভর্তি ছিল তাঁর ডান হাতে। বাঁ হাতের কনুইয়ের কাছে ছিল সিগারেট এর ছেঁকার দাগ। আমাকে নিজের দিকে লক্ষ্য করতে দেখে ইশারায় কি যেন বলতে চেয়েছিল মেয়েটি, কিন্তু কাউন্টার থেকে হঠাত তাঁর টেবিল জিজ্ঞেস করায়ে তাঁকে আমার থেকে মুখ সরিয়ে নিতে হয়েছিল । আমি ওঁর আঙ্গুল বরাবর চোখ ঘোরাতে দেখতে পেয়েছিলাম তিনজনকে। তিনজন লোক। ভদ্রলোক বলা চলে না, তাদের চেহারা ও বেশভূষা ছিল কিঞ্চিত ভয়ানক ও রুক্ষ। বলপূর্বক মেয়েটিকে বার্গার খাবানোর চেষ্টা করছিল তাঁরা ও ফুর্তি করছিল তাঁর গায়ে হাত দিয়ে । আমি খেতে খেতে মেয়েটিকে দেখছিলাম। খুব বিকৃত লাগছিল ব্যাপারটা।
মল থেকে বেরিয়ে যখন রাস্তার নির্জন দিক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম ষ্ট্যান্ড এর দিকে, দেখতে পেয়েছিলাম একটি অজ্ঞান অসার মহিলা দেহ নিয়ে তিনজন পুরুষ ট্যাক্সিতে উঠছে। কাছে যেতে আবার দেখেছিলাম ওদেরকে। সেই মেয়েটি তখন জ্ঞানহারা, ওরনাহীন, অলস অবস্থায়ে পিছনের সিটে পড়ে আছে। কী জানি কী মনে হতে হঠাত্ করে ঢুকতে চেয়েছিলাম ট্যাক্সিতে। আমার আকস্মিক ও অভাবনীয় ব্যবহারে তিনজন চমকে উঠেছিল। একরকম হাতাহাতি করতে শুরু করেছিলাম আমি। কোনো ফল না ভেবে। আমাকে তিনজনে যাপটে ধরে খুব মারছিল ওঁরা। আর তখনই ট্যাক্সির ড্রাইভার আমার গলার কাছে একটা পাতলা ছুঁড়ি ধরেছিল। সেই আমার তাঁর মুখ প্রথম দেখা। শাসিয়েছিল আমাকে। তারপর কেউ খুব জোরে মাথায়ে আঘাত করাতে সব অন্ধকার হয়ে গেল। জ্ঞান যখন ফিরেছিল তখন আমি আমার বন্ধুর বাড়িতে। মেয়েটির সাথে যে কি হয়েছিল তা আমার ভাবনার অতীত। এইটুকু জানি যে সেদিন বাঁচাতে চেয়েও বাঁচাতে পারিনি সেই অসহায় মেয়েটিকে।
সেই দিনটার কথা ভাবতে ভাবতে যখন আমার কপাল ও মাথা দিয়ে ঘাম ঝরতে আরম্ভ করেছে, যখন আমার বুকের হৃদস্পন্দন দ্রুত গতিতে দৌড়তে
শুরু করেছে, ঠিক তখনি ট্যাক্সিটা দাড়িয়ে পড়ল। আমি ভীত চিত্তে ড্রাইভার এর দিকে চাইলাম। তাহলে কী ড্রাইভার আমাকে চিনতে পেরে গেছে? আজ কি সেই অমীমাংসীত প্রতিশোধ নেবে? আমার কি আজ ই শেষ দিন? - এই সব প্রশ্ন যখন আমার মগজের দরজায়ে প্রবল কড়াঘাত করছে, তখনই শুনতে পেলাম - "নেমে পড়ুন" । ভয়মিশ্রিত চোখে যখন বাইরে তাকালাম দেখলাম এয়ারপোর্ট ১নং গেট এসে গেছে। একটু হলেও স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেললাম। ভাবতে লাগলাম যে ও আমাকে দেখতে পায়েনি। একটু দম ফেলে মিটারের প্রাপ্য ডান হাত দিয়ে সামনে এগিয়ে দিলাম ড্রাইভার এর কাছে। হিসেব করে বাকিটা নিয়ে বাইরে নেমে সবেমাত্র ট্যাক্সিকে পিছনে ফেলে হাঁটা আরম্ভ করেছি, তখনই শুনতে পেলাম - "কি বাবু? উস দিন দিমাগ কা চোট ভারী থা ইয়ান নাহি? - দুনিয়া গোল আছে । ঈশ্বরের কৃপাতে হাম ফির মিলেঙ্গে। হা হা হা হা হা .....হা হা.... হা .."
হাসি মিলিয়ে গেল। ট্যাক্সি চলে গেল। আমি নিথর দাড়িয়ে ও আমার কান সেই শেষ অট্টহাসিকে এখনো হাত বুলিয়ে যাচ্ছে ।
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
'অপ্রকাশিত',
Bengali(বাংলা ),
unpublished
Monday, 30 September 2019
ভারতে অলিম্পিক
এই লেখাটা লিখেছিলাম আজ থেকে সাড়ে পাঁচ বছর আগেই, জানুয়ারি ২০১৪ সাল। লিখেছিলাম কোনো সংবাদ পত্রের লেখনী প্রতিযোগিতার জন্য, আদৌ চিঠি পৌঁছেছিল কিনা আমি জানি না আর যদি পৌঁছে গিয়েও থাকে, তাহলেও হয়তো খবরের পাতায় প্রকাশ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেনি। তাই এই লেখা গুলো 'অপ্রকাশিত' রয়ে গেছে। এরকম অনেক গল্প বা লেখনী আছে যা আমি এই 'অপ্রকাশিত' সংকলনে যোগ করতে চলেছি। আজকের দ্বিতীয় লেখা যেটা আমি যোগ করছি সেটা একটা সূত্রের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিভাগ - সংবাদ প্রতিবেদন।
wikipedia |
গল্পের বিভাগ : সংবাদ প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদন, নয়াদিল্লী ,২৮শে অগস্ট : ভারতের মাটিতে প্রথম অলিম্পিক গেমস শুরু হলো আজ নয়াদিল্লীতে। নয়াদিল্লীর দশটি স্টেডিয়াম এ যথা জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম, এস পি এম সুইমিংপুল কমপ্লেক্স, সিরি ফোর্ট স্পোর্টস কমপ্লেক্স,তাল্কাটরা স্টেডিয়াম, আই.জি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, মেজর ধ্যান চাঁদ ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, তিয়াগরাজ স্পোর্টস কমপ্লেক্স, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম সহ আর.কে খান্না টেনিস কমপ্লেক্স ও যমুনা স্পোর্টস কমপ্লেক্স এ আগামী ১৫ দিন ব্যাপী অলিম্পিক গেমস এর বিভিন্ন পর্যায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন "এই মূহুর্ত আমাদের সকল ভারতবাসীর জন্যই খুব আনন্দের ও গর্বের বিষয়। আমার পক্ষ থেকে সকল দেশের সকল প্রতিযোগীর জন্য রইল অদম্য শুভেচ্ছা ও আন্তরিকতা"।
অলিম্পিকের এই শুভ মূহুর্তে রাজধানী সকাল থেকেই সেজে উঠেছিল বিকেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য। আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম এ চিত্র পরিচালক সত্যজিত রায়ের নির্দেশনায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আরম্ভ হয। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল সঙ্গীত পরিচালক আর.ডি বর্মন ও এ.আর রহমান এর যৌথ প্রয়াসে পরিচালিত অলিম্পিক থিম মিউসিক্যাল। তারপরেই দর্শিত হয় গত ২ মাস বিশ্বব্যাপী অলিম্পিক টর্চ রিলের সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় বিভাগে ছিল শাস্ত্রীয়,সুর ও বাদ্যের বন্দিশ। উপস্থিত ছিলেন দেশের নামী ওস্তাদ ও পান্দিতবর্গজন। পন্ডিত রবি শঙ্কর এবং উস্তাদ আল্লা রাখা 'পঞ্চম সে গা রা' পরিবেশনের মাধ্যমে দর্শকদের করে তুলেছিলেন অভিভূত। পরবর্তী অনুষ্ঠান ছিল আজ সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ। বিশ্ব বিখ্যাত পপস্টার মাইকেল জ্যাকসন এর ভারতে সর্বপ্রথম লাইভ পরিবেশন। জ্যাকসন এর অনুরোধে তাঁর সাথে পা মেলালেন ভারতের এম.জে প্রভু দেবাও। ভারতের মাটিতে প্রথম এসে খুবই উৎফুল্ল এম.জে। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বলিউড এর বিভিন্ন তারকারা। মাইকেল জ্যাকসন এর দুর্ধর্ষ পরিবেশনের পরে ছিল নৃত্য ও সংস্কৃতির আলোকবর্ষা। শাস্ত্রীয় নৃত্য ও সবকটি রাজ্যের লোকনৃত্যের তালে তালে অলিম্পিক প্রতিযোগীদের বরণ করা হয় পুষ্পঝর্না দিয়ে। শেষ মূহুর্তে লতা মঙ্গেশকার, আশা ভোঁসলে, মান্না দে ও কিশোর কুমারের কন্ঠে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। সাথে সাথে নেহেরু স্টেডিয়াম এর আকাশ হয়ে ওঠে আলোকময়। জ্বলে ওঠে অলিম্পিকের প্ঞ্চবৃত্ত এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি কার্যতভাবে ঘোষনা করেন অলিম্পিকের প্রারম্ভিক সূচনা।
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
'অপ্রকাশিত',
Bengali(বাংলা ),
unpublished
পুজো মানে - আগমনীর সুর
মহালয়া ছিল পরশু দিন। আমার আর কিছু লেখা হয় ওঠে নি। আজ দ্বিতীয়া। মহালয়া মানে দেবীপক্ষের শুরু বা পিতৃপক্ষের অবসান, এই সব আমি লিখবো না আর। বড্ডো একঘেয়ে হয় গেছে কথাগুলো। ঘুম থেকে উঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী অথবা ছোটবেলার দুর্গারূপি সংযুক্ত ব্যানার্জীর মায়াবি পরিবেশন এই সমস্ত সবার স্মৃতিতে জীবন্ত। তাই সেই সব নিয়ে আর কিছু লিখবো না।
আচ্ছা আপনাদের কখনো মনে হয়েছে, এই মহালয়ার দিনে চক্ষুদান করেন যেই সমস্ত শিল্পী, তাঁদের কি অসীম একাগ্রতা, এই চূড়ান্ত ভিড়ের মধ্যে একটি মাত্র প্রচেষ্টাতে মায়ের চোখ আঁকেন তাঁরা। সেদিন একটি ভিডিও দেখলাম, যেখানে শিল্পী চক্ষুদান করছেন। যেন মা নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নিজের চোখ সবার সামনে প্রকাশ করছেন। আমরা যারা দেখি, তাদের গায়ে কাঁটা দেয় কিন্তু যিনি আঁকছেন, তাঁরা তখন কি ভাবেন ? তাঁদের মনে ভয় হয় ? বা চিন্তা ? যদি একটু ভুল হয়ে যায় ? কি গুরুদায়িত্ব বলুন তো। আমি অবাক হয় যাই, বিশেষত ত্রিনয়ন যখন মায়ের মুখে ফুটে ওঠে। এইভাবে মায়ের প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাথে সাথে আগমনীর সুর বেজে ওঠে। আর এই আগমনীর সুরে মেতে ওঠে সবাই। শুরু হয় কোনায় কোনায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। পাড়ায় পাড়ায়, বিভিন্ন সোসাইটিতে নাটক, গীতিআলেখ্য, নৃত্যনাট্য, গান, আবৃত্তিতে সবাই অংশগ্রহণ করেন। আর সবচেয়ে ভালো লাগে সবার অংশগ্রহণের ইচ্ছা। দূর্গার অসুর বধের নাট্য রূপ যেমন দেখতেও ভালো লাগে, তেমন যাঁরা অংশগ্রহণকারী তারাও মজা পায় ভারী। সাথে খাওয়া দাওয়া তো আছেই।
ছোটবেলায় মহালয়া মানে শুধু বুঝতাম একটা দিন ছুটি, সকালের দূরদর্শন দর্শন আর দুপুরে খুব ভালো খাওয়া দাওয়া কিন্তু এখন মহালয়া মানে ঠাকুর দেখা শুরু। কোলকাতাতে এখন অনেক প্যান্ডেলের উদ্বোধন শেষ। অনেকে ঠাকুর দেখাও শুরু করে দিয়েছেন। কলকাতা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে জীবন্ত ও উৎসবমুখর। পুজো ভালো কাটুক। আজ খুব কম লিখলাম, লিখবো আরো। হাতে সময় থাকলে খুব শিগগিরই লিখবো।
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
আচ্ছা আপনাদের কখনো মনে হয়েছে, এই মহালয়ার দিনে চক্ষুদান করেন যেই সমস্ত শিল্পী, তাঁদের কি অসীম একাগ্রতা, এই চূড়ান্ত ভিড়ের মধ্যে একটি মাত্র প্রচেষ্টাতে মায়ের চোখ আঁকেন তাঁরা। সেদিন একটি ভিডিও দেখলাম, যেখানে শিল্পী চক্ষুদান করছেন। যেন মা নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নিজের চোখ সবার সামনে প্রকাশ করছেন। আমরা যারা দেখি, তাদের গায়ে কাঁটা দেয় কিন্তু যিনি আঁকছেন, তাঁরা তখন কি ভাবেন ? তাঁদের মনে ভয় হয় ? বা চিন্তা ? যদি একটু ভুল হয়ে যায় ? কি গুরুদায়িত্ব বলুন তো। আমি অবাক হয় যাই, বিশেষত ত্রিনয়ন যখন মায়ের মুখে ফুটে ওঠে। এইভাবে মায়ের প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাথে সাথে আগমনীর সুর বেজে ওঠে। আর এই আগমনীর সুরে মেতে ওঠে সবাই। শুরু হয় কোনায় কোনায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। পাড়ায় পাড়ায়, বিভিন্ন সোসাইটিতে নাটক, গীতিআলেখ্য, নৃত্যনাট্য, গান, আবৃত্তিতে সবাই অংশগ্রহণ করেন। আর সবচেয়ে ভালো লাগে সবার অংশগ্রহণের ইচ্ছা। দূর্গার অসুর বধের নাট্য রূপ যেমন দেখতেও ভালো লাগে, তেমন যাঁরা অংশগ্রহণকারী তারাও মজা পায় ভারী। সাথে খাওয়া দাওয়া তো আছেই।
ছোটবেলায় মহালয়া মানে শুধু বুঝতাম একটা দিন ছুটি, সকালের দূরদর্শন দর্শন আর দুপুরে খুব ভালো খাওয়া দাওয়া কিন্তু এখন মহালয়া মানে ঠাকুর দেখা শুরু। কোলকাতাতে এখন অনেক প্যান্ডেলের উদ্বোধন শেষ। অনেকে ঠাকুর দেখাও শুরু করে দিয়েছেন। কলকাতা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে জীবন্ত ও উৎসবমুখর। পুজো ভালো কাটুক। আজ খুব কম লিখলাম, লিখবো আরো। হাতে সময় থাকলে খুব শিগগিরই লিখবো।
🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔺🔻
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
Bengali(বাংলা ),
দুর্গাপুজো,
পুজো মানে
Friday, 27 September 2019
পুজো মানে - ঘরে ফেরা
এই কিছু দিন আগে একটা বিজ্ঞাপন দেখলাম, তনুশ্রী শংকর , পাওলি দাম ও ঋতাভরীর নেপথ্যে কিছু কথা আর কিছু সুন্দর মুহূর্তের একটা অতি সুন্দর প্রতিবেদন। বাইরে থাকা উমাদের ঘরে ফেরার ডাক। মন টা ছুঁয়ে গেলো। এছাড়াও বেঙ্গালুরু এর টাইমস অফ ইন্ডিয়া তে একটা ক্যাম্পেইন ও চলছিল, বাঙালি মেয়েদের ঘরে ফেরানোর এক অভিনব প্রচেষ্টারস্বরূপ একটি ক্যাম্পেইন। সত্যি, পুজোর সময় ঘরে ফেরার আনন্দ আলাদা। শুধু উমাদের কথা বললে ভুল হবে। মায়ের তো ছেলে মেয়েকে নিয়ে সংসার। তাই না ? তাই ঘরে ফেরার ডাক আসে উভয়েরই ।
বাইরে থাকা বাঙালিদের মধ্যেও আবার রকমভেদ আছে। এক হলো, আমাদের মতন যারা চাকরিসূত্রে প্রবাসে বসবাস করছে, কিন্তু আপনজনেরা এখনো কলকাতাতে আবার অন্যদিকে, কিছু বাঙালি যাঁরা যুগের পর যুগ প্রবাসে থাকতে থাকতে সেই প্রবাসের এক অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে,তাঁদের মতন। তা আমি, এই চাকরিসূত্রে যাযাবর পাখিদের কথা বলি। সবচেয়ে মজা হলো, অফিসে বা যেকোনো সংস্থায় এইরূপী বাঙালিদের প্রশ্ন হবে, "পুজোয় কলকাতা যাচ্ছ /যাচ্ছিস?", তারপরের উত্তর হ্যাঁ এর দিকে হলে, প্রশ্ন আসবে "কবে বা কোন দিন?" সঙ্গে একখানি উজ্জ্বল মুখ। এই সমস্ত আলোচনাতে মনমেজাজ একটু ঝালিয়ে নিতে ভালো লাগে আর কি, আবার কোনো বাঙালি যদি কোনো কারণে যেতে না পারে, সে এই সমস্ত কথোপকোথনেই দুঃখপ্রকাশ করে। আমার ক্ষেত্রে হয়েছে আগের তিনটি বছর, সেই মন খারাপ টা অন্য মাত্রার হয়।
ব্যাঙ্গালোরে যেই হাড়ে বাঙালি বেড়েছে, সেই হাড়ে দূর্গা পুজোও বেড়েছে। অগুনতি পুজো। গত বছর বিশাল লাইন অতিক্রম করে ঠাকুরও দেখেছি। মনে হচ্ছিলো কলকাতাতেই আছি। কিন্তু সেটা মাত্র ওই পরিধির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এখানে ছোট ছোট জায়গাতে ছোট ছোট কলকাতা গড়ে ওঠে। মণ্ডপ থেকে ২০০ মিটার এগোলে কলকাতা হারিয়ে যায়। কলকাতার মতন আবহাওয়া আশা করাও শ্রেয় নয়। কারণ,গোটা কলকাতা তো নিজের জায়গাতেই বিদ্যমান। কিন্তু একটা জিনিস বলতেই হয়, এখানে নেই থিমের লড়াই, এখানে কিন্তু শুধু পুজো হয়। যেটার আনন্দ আবার অন্য ধাঁচের। সে যাই হোক, আমি তুলনা লিখতে বসিনি। তাও, একটা কথা তো মানতেই হবে -পুজোর সময় বাঙালির ক্ষুধা কিন্তু বাংলাই মেটাতে পারে।
আমি এখন এয়ারপোর্ট এ বসে, উড়ানের অপেক্ষায় বসে আছি আর কটকট টাইপ করে যাচ্ছি। চারদিকে বাঙালি পরিযায়ী পাখি। ওড়ার অপেক্ষায় তাঁরাও বসে আছে। সবার মুখে একটা চমক, ঘরে ফেরার। চোখ উজ্জ্বল, আবেগী হাসি আর অস্থিরচিত্ত। আমিও জানি আর কিছু ঘন্টা মাত্র , তারপরে আমিও আকাশ থেকে দেখবো আমার শহর শত শত জোনাকির আলো মেখে আমাকে কাছে টেনে নিচ্ছে। আর আমিও নিশাচর পাখি হয়ে প্রথম ঝলকে শহরটাকে আবার নতুন করে ভালোবাসবো। আমি ঘরে ফিরবো।
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
বাইরে থাকা বাঙালিদের মধ্যেও আবার রকমভেদ আছে। এক হলো, আমাদের মতন যারা চাকরিসূত্রে প্রবাসে বসবাস করছে, কিন্তু আপনজনেরা এখনো কলকাতাতে আবার অন্যদিকে, কিছু বাঙালি যাঁরা যুগের পর যুগ প্রবাসে থাকতে থাকতে সেই প্রবাসের এক অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে,তাঁদের মতন। তা আমি, এই চাকরিসূত্রে যাযাবর পাখিদের কথা বলি। সবচেয়ে মজা হলো, অফিসে বা যেকোনো সংস্থায় এইরূপী বাঙালিদের প্রশ্ন হবে, "পুজোয় কলকাতা যাচ্ছ /যাচ্ছিস?", তারপরের উত্তর হ্যাঁ এর দিকে হলে, প্রশ্ন আসবে "কবে বা কোন দিন?" সঙ্গে একখানি উজ্জ্বল মুখ। এই সমস্ত আলোচনাতে মনমেজাজ একটু ঝালিয়ে নিতে ভালো লাগে আর কি, আবার কোনো বাঙালি যদি কোনো কারণে যেতে না পারে, সে এই সমস্ত কথোপকোথনেই দুঃখপ্রকাশ করে। আমার ক্ষেত্রে হয়েছে আগের তিনটি বছর, সেই মন খারাপ টা অন্য মাত্রার হয়।
ব্যাঙ্গালোরে যেই হাড়ে বাঙালি বেড়েছে, সেই হাড়ে দূর্গা পুজোও বেড়েছে। অগুনতি পুজো। গত বছর বিশাল লাইন অতিক্রম করে ঠাকুরও দেখেছি। মনে হচ্ছিলো কলকাতাতেই আছি। কিন্তু সেটা মাত্র ওই পরিধির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এখানে ছোট ছোট জায়গাতে ছোট ছোট কলকাতা গড়ে ওঠে। মণ্ডপ থেকে ২০০ মিটার এগোলে কলকাতা হারিয়ে যায়। কলকাতার মতন আবহাওয়া আশা করাও শ্রেয় নয়। কারণ,গোটা কলকাতা তো নিজের জায়গাতেই বিদ্যমান। কিন্তু একটা জিনিস বলতেই হয়, এখানে নেই থিমের লড়াই, এখানে কিন্তু শুধু পুজো হয়। যেটার আনন্দ আবার অন্য ধাঁচের। সে যাই হোক, আমি তুলনা লিখতে বসিনি। তাও, একটা কথা তো মানতেই হবে -পুজোর সময় বাঙালির ক্ষুধা কিন্তু বাংলাই মেটাতে পারে।
আমি এখন এয়ারপোর্ট এ বসে, উড়ানের অপেক্ষায় বসে আছি আর কটকট টাইপ করে যাচ্ছি। চারদিকে বাঙালি পরিযায়ী পাখি। ওড়ার অপেক্ষায় তাঁরাও বসে আছে। সবার মুখে একটা চমক, ঘরে ফেরার। চোখ উজ্জ্বল, আবেগী হাসি আর অস্থিরচিত্ত। আমিও জানি আর কিছু ঘন্টা মাত্র , তারপরে আমিও আকাশ থেকে দেখবো আমার শহর শত শত জোনাকির আলো মেখে আমাকে কাছে টেনে নিচ্ছে। আর আমিও নিশাচর পাখি হয়ে প্রথম ঝলকে শহরটাকে আবার নতুন করে ভালোবাসবো। আমি ঘরে ফিরবো।
🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔺🔻
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
Bengali(বাংলা ),
দুর্গাপুজো,
পুজো মানে
Wednesday, 25 September 2019
পুজো মানে - পুজোর গান
"বাজলো তোমার আলোর বেণু / মাতলো যে ভুবন / বাজলো তোমার আলোর বেণু " - না এই গানটাকে আজ এই পোস্ট থেকে বাদ দিচ্ছি, এই গান টা মহালয়ার জন্য তোলা থাক ? আমি সাধারণত এই গান টা মহালয়ার আগে শুনিনা, মনে শুঁড়শুঁড়ি লাগলেও শুনিনা , এই গান টা মহালয়ার প্রভাতে শুনতে বেশি ভালো লাগে। আমি আজ কথা বলছি সেই গান গুলোর ব্যাপারে, যেই গুলো সাধারণত পুজোর গান হিসেবে বেশি পরিচিত। পুজোর জন্য বিশেষ ভাবে রেকর্ড করা গান, যা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাজতে থাকে পুজোর দিন গুলোতে, সেই সমস্ত গানের কথা । বছরের পর বছর গান বেরোতে থাকে, আমার ছোটবেলার পুজোর গান আবার আমার মায়ের সময়ের পুজোর গানের থেকে আলাদা। আলাদা গান আলাদা আলাদা মানুষের ভিন্ন স্মৃতিকে খোঁচা দেয়। গান এমন একটা জিনিস, যা মানুষকে প্রচন্ড ভাবে নস্টালজিক করে তোলে। কেমন যেন গানের প্রকাশকালীন সময়টা চোখে ভেসে ওঠে। আসুন, আজ একটু সেই সকল গান নিয়েই লেখালেখি হোক, আর আপনারা তার সাক্ষী থাকুন।
আমার নস্টালজিয়ার মধ্যে পুজোর গান বলতে আমি বুঝি কুমার শানুর "কত যে সাগর যদি পেরিয়ে এলাম আমি", "কে বলে ঠাকুমা তোমায়", "তুমি আছো এতো কাছে তাই"। আমি প্রাক ৯০ দশকে শৈশব কাটিয়েছি, স্বভাবতই, তখন কুমার শানুর যুগ। আর এই গান এখন শুনলে আমার তখনের পুজোর দিনগুলো মনে পরে, মনে পরে দূর থেকে প্যান্ডেলের মাইক গাইতো এই গানগুলো। বার বার। মনে পরে যায়, রাস্তায় ক্যাপ ফাটাতে ফাটাতে যদি কোনো ঠাকুমাকে দেখতাম, আমরা সবাই কেমন গেয়ে উঠতাম "কে বলে ঠাকুমা তোমায়" - মানে না বুঝেই। সেই পুরোনো মণ্ডপ, তখনের পুজোর গন্ধ সব এখন পাল্টে গেছে। আবার এমন কিছু পুজোর গান ও শুনতাম যা আমাদের অনেক আগের যুগের। ৮০ দশকের। তার মধ্যে আশা ভোঁসলে ও আর. ডি. বর্মনের বিখ্যাত আধুনিক বাংলা গানের জুড়ি মেলা ভার। আর অন্তরা চৌধুরী এর গানগুলোকেই বা কি করে বাদ দি। তারপরে আসলো উদিত নারায়ণের পুত্র আদিত্য নারায়ণের কিছু বিখ্যাত বাংলা গান, মিষ্টি কিছু গান, বিশেষত বাচাদের জন্য বানানো সেই গান। "এটা করোনা ওটা করোনা, করবো তবে কি, রোজ একই কথা ভাল্লাগেনা ছাই "। এই গান টা খুব মুখস্ত করেছিলাম, কারণ মাকে শুনিয়ে শুনিয়ে এই গান টা খুব গাইতাম। তারপর এই কয়েক বছর পরে আসলো একটা বিটকেল যুগ, মিতা চ্যাটার্জীর গান। আমার বিকট লাগতো 😖।
এতো গেলো আমার গল্প, কিছু গান এখনো বাজলে মায়ের মুখে শুনি, এই গান গুলো পুজোর সময় কি বাজতো। "মধু মালতি ডাকে আয়ে ", "যেতে দাও আমায় ডেকো না", "আমি মিস ক্যালকাটা ", "কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আর নেই ", "আয়ে খুকু আয়ে ", হেমন্ত , সতীনাথ, কিশোর কুমারের প্রমুখ গান আরো অনেক গান, যা আমার মনে এখন পড়ছে না। মায়ের কথায় তখন পুজোর গান একটা আকর্ষণ ছিল, ধীরে ধীরে যদিও সেই আকর্ষণ টা কমে যাচ্ছে, কারণ এখন তেমন ভাবে পুজোর গান বেরোয় না, বেরোলেও এমন কিছু মধুর হয়না, যা মন ছুঁয়ে নেয়। সবচেয়ে বড়ো তফাৎ যেটা আমি মনে করি, হলো গানের সাথে ভিডিও যোগ করার হিড়িক। পুজোর গান এখন দেখতে হয়। আর অতিরিক্ত মেক আপ করে বাঙালি আটপার শাড়ী / স্টাইলিশ ধুতি পাঞ্জাবি পরে,সেজেগুঁজে অতিরঞ্জিত করাটা আমি মেনে নিতে পারিনা। আগে যেই জিনিস টা ভালো লাগতো, সেটা হলো, সব প্যান্ডেলে বাংলা পুজোর গান বাজতো, বড় হওয়ার সাথে সাথে দেখলাম কিছু কিছু প্যান্ডেলে হিন্দি সিনেমার গান বাজতে থাকে। কেমন যেন বেখাপ্পা লাগতো, কিন্তু ভাগ্যক্রমে, আমার পাড়ায় কিন্তু এখনো বাংলা গানই বাজে, নতুবা মহিষাসুরমর্দিনী নতুবা ঢাক। আর কিছু না হলে, মাইক থেকে আয়োজনকর্তাদের ব্যস্ততার কথোপকথন শুনতে পাওয়া যায়। যেটা বেজায় আজে বাজে গানের থেকে অনেক ভালো ও মজাদার 😁. অন্তত, পুজোর আয়োজন টা না দেখেও, শোনা তো যায়।
আপনারাও লিখুন না আপনাদের ছোটবেলার বা বড়বেলার স্মৃতি, এই পুজোর গান নিয়ে। কমেন্ট করুন 😊।
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
আমার নস্টালজিয়ার মধ্যে পুজোর গান বলতে আমি বুঝি কুমার শানুর "কত যে সাগর যদি পেরিয়ে এলাম আমি", "কে বলে ঠাকুমা তোমায়", "তুমি আছো এতো কাছে তাই"। আমি প্রাক ৯০ দশকে শৈশব কাটিয়েছি, স্বভাবতই, তখন কুমার শানুর যুগ। আর এই গান এখন শুনলে আমার তখনের পুজোর দিনগুলো মনে পরে, মনে পরে দূর থেকে প্যান্ডেলের মাইক গাইতো এই গানগুলো। বার বার। মনে পরে যায়, রাস্তায় ক্যাপ ফাটাতে ফাটাতে যদি কোনো ঠাকুমাকে দেখতাম, আমরা সবাই কেমন গেয়ে উঠতাম "কে বলে ঠাকুমা তোমায়" - মানে না বুঝেই। সেই পুরোনো মণ্ডপ, তখনের পুজোর গন্ধ সব এখন পাল্টে গেছে। আবার এমন কিছু পুজোর গান ও শুনতাম যা আমাদের অনেক আগের যুগের। ৮০ দশকের। তার মধ্যে আশা ভোঁসলে ও আর. ডি. বর্মনের বিখ্যাত আধুনিক বাংলা গানের জুড়ি মেলা ভার। আর অন্তরা চৌধুরী এর গানগুলোকেই বা কি করে বাদ দি। তারপরে আসলো উদিত নারায়ণের পুত্র আদিত্য নারায়ণের কিছু বিখ্যাত বাংলা গান, মিষ্টি কিছু গান, বিশেষত বাচাদের জন্য বানানো সেই গান। "এটা করোনা ওটা করোনা, করবো তবে কি, রোজ একই কথা ভাল্লাগেনা ছাই "। এই গান টা খুব মুখস্ত করেছিলাম, কারণ মাকে শুনিয়ে শুনিয়ে এই গান টা খুব গাইতাম। তারপর এই কয়েক বছর পরে আসলো একটা বিটকেল যুগ, মিতা চ্যাটার্জীর গান। আমার বিকট লাগতো 😖।
এতো গেলো আমার গল্প, কিছু গান এখনো বাজলে মায়ের মুখে শুনি, এই গান গুলো পুজোর সময় কি বাজতো। "মধু মালতি ডাকে আয়ে ", "যেতে দাও আমায় ডেকো না", "আমি মিস ক্যালকাটা ", "কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আর নেই ", "আয়ে খুকু আয়ে ", হেমন্ত , সতীনাথ, কিশোর কুমারের প্রমুখ গান আরো অনেক গান, যা আমার মনে এখন পড়ছে না। মায়ের কথায় তখন পুজোর গান একটা আকর্ষণ ছিল, ধীরে ধীরে যদিও সেই আকর্ষণ টা কমে যাচ্ছে, কারণ এখন তেমন ভাবে পুজোর গান বেরোয় না, বেরোলেও এমন কিছু মধুর হয়না, যা মন ছুঁয়ে নেয়। সবচেয়ে বড়ো তফাৎ যেটা আমি মনে করি, হলো গানের সাথে ভিডিও যোগ করার হিড়িক। পুজোর গান এখন দেখতে হয়। আর অতিরিক্ত মেক আপ করে বাঙালি আটপার শাড়ী / স্টাইলিশ ধুতি পাঞ্জাবি পরে,সেজেগুঁজে অতিরঞ্জিত করাটা আমি মেনে নিতে পারিনা। আগে যেই জিনিস টা ভালো লাগতো, সেটা হলো, সব প্যান্ডেলে বাংলা পুজোর গান বাজতো, বড় হওয়ার সাথে সাথে দেখলাম কিছু কিছু প্যান্ডেলে হিন্দি সিনেমার গান বাজতে থাকে। কেমন যেন বেখাপ্পা লাগতো, কিন্তু ভাগ্যক্রমে, আমার পাড়ায় কিন্তু এখনো বাংলা গানই বাজে, নতুবা মহিষাসুরমর্দিনী নতুবা ঢাক। আর কিছু না হলে, মাইক থেকে আয়োজনকর্তাদের ব্যস্ততার কথোপকথন শুনতে পাওয়া যায়। যেটা বেজায় আজে বাজে গানের থেকে অনেক ভালো ও মজাদার 😁. অন্তত, পুজোর আয়োজন টা না দেখেও, শোনা তো যায়।
আপনারাও লিখুন না আপনাদের ছোটবেলার বা বড়বেলার স্মৃতি, এই পুজোর গান নিয়ে। কমেন্ট করুন 😊।
🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔺🔻
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
Bengali(বাংলা ),
দুর্গাপুজো,
পুজো মানে
Tuesday, 24 September 2019
জ্যান্ত দুর্গার সংসার
এই লেখাটা লিখেছিলাম আজ থেকে সাড়ে পাঁচ বছর আগেই, জানুয়ারি ২০১৪ সাল। লিখেছিলাম কোনো সংবাদ পত্রের লেখনী প্রতিযোগিতার জন্য, আদৌ চিঠি পৌঁছেছিল কিনা আমি জানি না আর যদি পৌঁছে গিয়েও থাকে, তাহলেও হয়তো খবরের পাতায় প্রকাশ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেনি। তাই এই লেখা গুলো 'অপ্রকাশিত' রয়ে গেছে। এরকম অনেক গল্প বা লেখনী আছে যা আমি এই 'অপ্রকাশিত' সংকলনে যোগ করতে চলেছি। আজকের প্রথম লেখা যেটা আমি যোগ করছি সেটা একটা সূত্রের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিভাগ - হাস্য কৌতুক। যেহেতু পুজো কাছে, তাই এইটা দিয়েই শুরু করলাম।
গল্পের বিভাগ : হাসি
গল্পের সুত্র : "আজ দশমী। এবার আমাদের পাড়ার পুজোর থিম ছিল লাইভ ঠাকুর। মোড়ের মিষ্টির দোকানের ময়রা হয়েছিল গণেশ, বলিউড এর স্বপ্নে বিভোর ঋত্বিক হয়েছিল কার্তিক, পাড়ার হার্টথ্রব চিনির বোন্ মিনি..... "
আজ দশমী। প্রতিবারের মতন এবারেও আমাদের পাড়ার হাল একটু বেহাল। উপহাস্য নয়। আসলে থিম পূজোর থিম মগজ থেকে ঠিকরে না বেরোবার ফলে আমাদের পূজোর 'গরম' ও 'টগবগে' থিম হল লাইভ ঠাকুর। অনেক চেষ্টা করেও এত বছরেও একটা 'অমুক' কিংবা 'তমুক' সম্মান পাওয়া যায়েনি।দেখা যাক আজ এই শেষ দিনে যদি মা যেতে যেতে আচমকা কিছু দিয়ে যান।
মাকে খুশি করার জন্য আমাদের পাড়ার ছেলে পিলেরাই হয়ে গেছে মা ও তার পরিবার বৃন্দগন। মোড়ের মিষ্টির দোকানের পেটফোলা ময়রা হয়েছে গণেশ । নকল ফর্সা শুঁড় ও কালো চকচকে ভুঁড়ি দুলিয়ে ভালই অভিনয় করলো এই কদিন। ওদিকে বলিউড এর স্বপ্নে বিভোর ঋত্বিক হয়েছে কার্তিক। ধনুক তো দূরের কথা, নেই একটা নকল বন্দুকও। ট্যাবলেট হাতে কানে আশিকী ২ এর গানে মত্ত হয়ে ফেইসবুক করে করেই এই চারটে দিন কাটিয়ে দিল গোঁফহীন প্যাংলা কার্তিক। ভাগ্যিস নামটাই মেলে রোশন পুত্রের সাথে। চেহারা মিললে মা দূর্গা ই জানতেন এই মন্ডপ বেদিতে কি হত। ঐ দিকে পাড়ার ধক ধক হার্টথ্রব চিনির বোন্ মিনি হয়েছে লক্ষী। নামেই মিনি। আকারে বিশাল মিনির পুরুষালি হাবভাব মা লক্ষী না দেখলেই ভালো হয়। আর যদি দেখেও থাকেন তাহলে - " মা লক্ষী - এদের দোষ নিস না । এঁরা নিরুপায়। কথা দিছি আসছে কোজাগরী তে তোকে সুন্দর করে পুজো করব এই বেদীতেই "। যাক এইবার আসি সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী এর আলোচনায়ে। পাড়ার মেয়েদের অভাবকে টেক্কা দিয়ে পাড়ার হাড়ুই হয়ে গেছে সরস্বতী। পরচুলা, লোমশ লম্বা চেহারায়ে স্মার্ট সরস্বতী বাজিয়েছে গিটার। সোজা কথাযে সরস্বতী অন ছিল। যাকে বলে বেপরোয়া।
এত গেল সন্তানদের বর্ণনা। আসছি মা ও তার একমাত্র ভিলেন অসুরের বর্ণনাতে। মা দূর্গা হয়েছে আমাদের পাড়ার ঝগরুটে আপেল পিসি। কিন্তু এটা মানতে হবে যে তাঁর রাগী পাকানো চোখের সাথে হিংস্র আবেদন সত্যি তাঁকে মহিষাসুরমর্দিনী করে তুলেছে। দুই হাতে নকল ত্রিশুল, আর বাকি আটটি নকল হাতের একটি হাতের আঙ্গুল খসে পড়েছে। আর আঙ্গুলেরই বা কি দোষ ? থার্মোকলের হাত এই চারদিন টিকেছে এই ঢের। চশমা পরা মা দূর্গাকে শতকোটি পেন্নাম। এই দিকে অসুর হলো গিয়ে চালের দোকানের চাঁদু। চাল বিক্রি করে গতরটা বেশ ভালই ভারী করেছে। তাই বলবান হ্যান্ডসাম অসুরের জায়েগাতে মাংসালো থলথলে চেহারাটা খুব একটা হাস্যকর হয়েনি। একটু বডি বিল্ডিং এর অভাব ব্যস। যাই হোক চাঁদু বাবার চালের দোকান থেকে এই চারটে দিন রেহাই পেয়ে বেজায়ে খুশি। তাই অসুর একদম হাসমুখলাল।
বাহনের কথা বাদই দিলাম কারণ জ্যান্ত কেউ নয়ে, সবাই নকল পুতুল। তাতে কি যায়ে আসে। কাজ তো চলে গেল। কিন্ত হাঁ আমাদের পাড়ার পুজো কোনো দর্শনার্থীকে হতাশ করেনি। কোনো অ্যাওয়ার্ড না পেলেও আমাদের পুজো দর্শনার্থীদের কে দিতে পেরেছে এক চিলতে হাসি। কাতারে কাতারে লোক না হলেও বেশ সংখ্যক দর্শনার্থী হয়েছে, আবার কেউ কেউ হাসার সাথে সাথে প্রনাম ও করেছেন আমাদের ভগবান দের।
'মা দূর্গা' - এবারের মতন ক্ষমা করিস। কথা দিলাম আগামী বছর তুই আসবি কুমোর পাড়া থেকেই। এবারের ভুলত্রুটি মার্জনা করিস আর হাশি মুখে শ্বশুর বাড়ির জন্য রওনা দিস ।
সৌজন্যে --
প্যাট্লা রতন
আসিস্টান্ট সেক্রেটারী
মিলেঝুলে থাকি ক্লাব
ঝাউতলা পার্ক
কলকাতা- ৭০০০০০
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
'অপ্রকাশিত',
Bengali(বাংলা ),
unpublished,
দুর্গাপুজো
Sunday, 22 September 2019
পুজো মানে - বাঁশের জুড়ি মেলা ভার আর হোর্ডিং এর সজ্জা
আর মাত্র ১০ দিন। বাংলার দিকে দিকে এখন সাজো সাজো রব। প্যান্ডেলের কাজ, প্রতিমার কাজ সব যেন এখন শেষ মুহূর্তের দিন গুনছে। প্যান্ডেল এবং প্রতিমা যেমন ৩ মাস আগে থেকেই সজ্জিত হতে শুরু করে, কলকাতা কিন্তু সাজতে শুরু করে এই সময় থেকে। আমি জানিনা এখন কলকাতায় কেমন অবস্থা, কিন্তু যা শুনেছি এখন মহালয়া থেকেই প্যান্ডেল উদ্ভোধন হয়ে যায় এবং নেমে যায় মানুষের ঠাকুর দেখার ভিড়। তাহলে সেই পরিপ্রেক্ষিতে আশা করা যায় কলকাতা সাজুগুজু করতে শুরু করে দিয়েছে।
আমাদের অঞ্চলে কোনো থিম পুজোর বালাই নেই, সব সার্বজনীন পুজো। তা সেখানে তুলনামূলক ভাবে প্যান্ডেলও শুরু হয় অনেক দেরিতে। এই সময় টা মাঠে মাঠে ঘুরলে দেখা যায়, সাবেকি ও সাধারণ প্যান্ডেল তৈরির প্রস্তুতি চলছে। প্যান্ডেল তৈরির সাথে সব বাঙালীর একটা কেমন সুতোর টান আছে তাই না? মানে এই উত্তেজনার কোনো তুলনা নেই।
তা যাই হোক, কলকাতা চাকরি করাকালীন অবস্থায়, অপেক্ষা করে থাকতাম রাস্তা ঘাট গুলো দেখবো বলে, বলা যেতে পারে ওটা একটা আনন্দের মুহূর্ত ছিল অফিস যাওয়ার পথে। লোকে বলে পুজোর সময় হলো একমাত্র সময় যখন বাঁশ খুব ভালো লাগে 😅। হা হা। বলার অর্থ হলো, প্যান্ডেল বলুন, বা অন্যান্য বাঁশের কাঠামো সবই তো মজার উদ্রেক করে। কলকাতার সুখ্যাত পুজোর এলাকাতে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি শুরু হলে পরে বোঝা যায়, এখন অন্তিম মুহূর্ত আর কিছুদিন পরেই এই বাঁশের রাস্তায় নামবে মানুষের ঢল। আগেই অফিস যাওয়ার পথে ভি. আই. পি রোডের উপরে দম দম পার্ক, লেকটাউন ও শ্রীভূমির কাছে এগুলো দেখতে পেতাম। তারপর লাইটিং বা হোর্ডিঙের জন্য বাঁশের কাঠামো সেগুলো ও তৈরি হতে থাকে ঠিক এই সময়। ধীরে ধীরে কলকাতা একটু একটু করে গয়না পড়তে শুরু করে। আর হ্যাঁ এই হোর্ডিং, পুজো স্পেশাল হোর্ডিং চারিদিকে না দেখতে পেলে কি ভালো লাগে ? এই ছোট্ট ছোট্ট জিনিস গুলো পুজোকে যেন আরো রঙিন করে তোলে। পুজো প্রাসঙ্গিক এমন অনেক ছোট ছোট জিনিস আছে যা আমাদের মন কে বার বার মনে করিয়ে দেয়, যে পুজো আসছে 😊।
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
আমাদের অঞ্চলে কোনো থিম পুজোর বালাই নেই, সব সার্বজনীন পুজো। তা সেখানে তুলনামূলক ভাবে প্যান্ডেলও শুরু হয় অনেক দেরিতে। এই সময় টা মাঠে মাঠে ঘুরলে দেখা যায়, সাবেকি ও সাধারণ প্যান্ডেল তৈরির প্রস্তুতি চলছে। প্যান্ডেল তৈরির সাথে সব বাঙালীর একটা কেমন সুতোর টান আছে তাই না? মানে এই উত্তেজনার কোনো তুলনা নেই।
তা যাই হোক, কলকাতা চাকরি করাকালীন অবস্থায়, অপেক্ষা করে থাকতাম রাস্তা ঘাট গুলো দেখবো বলে, বলা যেতে পারে ওটা একটা আনন্দের মুহূর্ত ছিল অফিস যাওয়ার পথে। লোকে বলে পুজোর সময় হলো একমাত্র সময় যখন বাঁশ খুব ভালো লাগে 😅। হা হা। বলার অর্থ হলো, প্যান্ডেল বলুন, বা অন্যান্য বাঁশের কাঠামো সবই তো মজার উদ্রেক করে। কলকাতার সুখ্যাত পুজোর এলাকাতে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি শুরু হলে পরে বোঝা যায়, এখন অন্তিম মুহূর্ত আর কিছুদিন পরেই এই বাঁশের রাস্তায় নামবে মানুষের ঢল। আগেই অফিস যাওয়ার পথে ভি. আই. পি রোডের উপরে দম দম পার্ক, লেকটাউন ও শ্রীভূমির কাছে এগুলো দেখতে পেতাম। তারপর লাইটিং বা হোর্ডিঙের জন্য বাঁশের কাঠামো সেগুলো ও তৈরি হতে থাকে ঠিক এই সময়। ধীরে ধীরে কলকাতা একটু একটু করে গয়না পড়তে শুরু করে। আর হ্যাঁ এই হোর্ডিং, পুজো স্পেশাল হোর্ডিং চারিদিকে না দেখতে পেলে কি ভালো লাগে ? এই ছোট্ট ছোট্ট জিনিস গুলো পুজোকে যেন আরো রঙিন করে তোলে। পুজো প্রাসঙ্গিক এমন অনেক ছোট ছোট জিনিস আছে যা আমাদের মন কে বার বার মনে করিয়ে দেয়, যে পুজো আসছে 😊।
🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔺🔻
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
Bengali(বাংলা ),
Random,
দুর্গাপুজো,
পুজো মানে
Friday, 20 September 2019
পুজো মানে - বিজ্ঞাপন ও বিনোদন
পুজোর বেশি দিন তো আর নেই। এখন গুনে গুনে ১২ দিন। তা আজ আমি লিখবো এমন কিছু জিনিস নিয়ে যা সবার স্মৃতিকে শুঁড়শুঁড়ি দেবে। আজ কথা বলবো বিজ্ঞাপন নিয়ে। বাঙালির মনে উদ্দীপনা জাগাতে কিন্তু এই বিজ্ঞাপন বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।
টেলিভিশনের কিছু পুজোর বিজ্ঞাপন এমনভাবে আমাদের মনে গেঁথেছিল যা আজও ভোলা যায়না। সবার প্রথমে মনে পরে "এই প্রানঢালা উৎসবে বার বার " -এ মৈত্রেয়ীর মাতৃরূপ ও সাবেকি বাড়ির প্রতিচ্ছবি কিংবা "সপ্তমী তে প্রথম দেখা অষ্টমীতে হাসি" -তে চন্দনা ও অর্জুনের মিষ্টি প্রেম বা "পুজোয় জমুক তুফানী চুমুক" -তে সৌমিত্রের হাসি। এগুলো এখনো আমরা ইউটিউবে খুঁজে খুঁজে দেখি। তাছাড়া তো বাকি দোকানের পুজো স্পেশাল বিজ্ঞাপন বা লোকাল ক্যাবল টিভি এর স্থানীয় দোকানের বিজ্ঞাপন ছিলই। যদিও এখনের সুজয় পুঁচকি এর বিজ্ঞাপন সেইভাবে মন ছুঁতে পারে না তাও এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখতে পেলেই মনে হয়, পুজোর জন্য তৈরি হতে হবে। শারদীয়া লেখা টার মধ্যেই যেন কেমন একটা টান আছে। দেখতে পেলেই মন কেমন করে ওঠে।
এর পর আসি প্রাক পুজো পরিক্রমার কথায়। ছোটবেলাতে তো এইসব কিছুই হতো না কারণ থিম পুজোর কোনো নামগন্ধ ছিল না। সেই ২০০২ এর বোসপুকুরের ভাঁড়ের প্যান্ডেল এমন এক নতুন ধারার প্রচলন করলো যে, এখন থিমপুজোই সর্বে সর্বা ( বিঃ দ্রঃ আমার কাছে নয়) । তারপর থেকেই শুরু হলো প্যান্ডেলের প্রতিযোগিতা এবং থিমের লড়াই। তাই শুরু হয়ে গেলো এক অতি অভিনব প্রোগ্রাম যা ষ্টার আনন্দে প্রচারিত হতো (এখনের এ বি পি আনন্দ)। নাম ছিল মেগাস্টার বনাম সুপারস্টার। আমার ভারী মজা লাগতো দেখতে, সেখানে শুরু হলো প্রতিটা পুজোর প্যান্ডেলে গিয়ে গিয়ে তাদের থিম সম্পর্কে এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তরে তথ্য সংগ্রহ করা এবং দর্শকদের সামনে তুলে ধরা। তারপরে পুজো শুরু হলে বিচার করে পুরস্কারের সাথে ঘোষিত হতো কে মেগাস্টার আর কে সুপারস্টার। অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার বুঝতাম না। পুজোর এই আবহাওয়া টা ভালো লাগতো। পুজোর দিন গুলোর থেকে পুজোর আগের প্রস্তুতিটা যেন বেশি আনন্দের তাই না ? এখনো কিন্তু এই রকম অনুষ্ঠান বিভিন্ন চ্যানেল এ প্রচারিত হয়। এখন ইউটিউবে তো অনেকে নিজের চ্যানেল এ নিজস্বভাবে পরিক্রমার ভিডিও আপলোড করেন। এগুলো আমাদের মতন বাইরে থাকা মানুষজনদের খুব খুশি করে। যাই হোক, আজ লেখাটা খুব ছোট রাখলাম আর বেশ অগোছালোই লিখলাম। যা মনে এসেছে তাই লিখেছি আর সাথে শুনছি "এই উজ্জলতার স্রোতে, এই বুকের ভিতর হতে, এই ফুটে ওঠা বিশ্বাসে, ফিরে আসে বার বার ... " না শালিমার না, ফিরে আসে আমাদের প্রাণের উৎসব, প্রাণের পুজো 😊
🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔺🔻
Posted By Debarati Datta
Read about me here blogging since 2011
Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
Labels:
Bengali(বাংলা ),
Random,
দুর্গাপুজো,
পুজো মানে
Subscribe to:
Posts (Atom)