হয়তো আসবে অন্য রূপে, কিন্তু বাস্তবে মুহূর্ত ক্ষণিকের অতিথি। যা চলে যায়, তা আর আসে না।
Sunday, 14 December 2025
নিস্তব্ধ শীতের গোধূলি লগ্ন
খুব ছোট করেই এই মুহূর্ত টা লেখায় বন্দী করছি। এখন বিকেল ৪:৪৪, গোধূলির ক্ষণ। পাখিরা বাসায় ফিরছে। জানালার ধারে পোগো দাঁড়িয়ে সেই উড়ন্ত পাখিদের সাথে নিজের ভাষায় কথা বলছে। পর্দার মাঝে লুকোচুরি খেলছে মাঝে মাঝে। ছয় তলা আবাসনের ছাদ থেকে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পড়ন্ত বিকেল টাও দেখতে পাচ্ছি। চারিদিকে বেশির ভাগ ছোট ছোট এপার্টমেন্টের ছাদের ভিড়। কিছু কিছু ছাদে আবার সামিয়ানা টাঙ্গানো। দূর থেকে আবার সানাইয়ের সুর ভেসে আসছে। বিয়েবাড়ি নিশ্চয়ই। জানো, এই মাত্র একটা কাক ডেকে গেলো সুপরি গাছটার মাথায় বসে। পোগো তা দেখে হাত তালি দিলো। শিশু মন প্রথম কাক দেখলো। ওই যে, অনেক দূরের বাড়ির ছাদে দুজন মহিলা অলস সময় যাপন করছে, রবিবার বলে কথা। হয়তো, নিজের মি টাইম খুঁজে বার করেছে। আরেক ছাদে, আবার একটি ছেলে হনহন করে হেঁটে যাচ্ছে, ডাক্তার বলেছে নিশ্চয়ই। কলকাতার এই শীতকাল কিন্তু বড্ড নেশাময়, মোহে ভরা। অন্য শহরে এই মোহ টা আঁচ করা যায় না। এই যে থমকে যাওয়া সময়, পাখিদের ফিরে যাওয়ার ধুম, ছাদ থেকে শুকনো জামা কাপড় তোলার রেওয়াজ, বিয়েবাড়ির সুর সবকিছু বড্ড সুন্দর। রবিবার শেষের মুহূর্তে। এই থমকে যাওয়া সময় টাই কাল দৌড়িয়ে বর্তমান থেকে ভুতে পরিণত হবে। এই শেষ বারো মিনিট ধরে যেটা দেখলাম, লিখলাম, এটা কি আদৌ এই এক ভাবে ফিরে আসবে ?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

No comments:
Post a Comment
Thanks for reading the post and if you like it then don't forget to fill a comment and send that to me .