Monday, 30 September 2019

পুজো মানে - আগমনীর সুর

মহালয়া ছিল পরশু দিন। আমার আর কিছু লেখা হয় ওঠে নি। আজ দ্বিতীয়া। মহালয়া মানে দেবীপক্ষের শুরু বা পিতৃপক্ষের অবসান, এই সব আমি লিখবো না আর। বড্ডো একঘেয়ে হয় গেছে কথাগুলো। ঘুম থেকে উঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী অথবা ছোটবেলার দুর্গারূপি সংযুক্ত ব্যানার্জীর মায়াবি পরিবেশন এই সমস্ত সবার স্মৃতিতে জীবন্ত। তাই সেই সব নিয়ে আর কিছু লিখবো না।



আচ্ছা আপনাদের কখনো মনে হয়েছে, এই মহালয়ার দিনে চক্ষুদান করেন যেই সমস্ত শিল্পী, তাঁদের কি অসীম একাগ্রতা, এই চূড়ান্ত ভিড়ের মধ্যে একটি মাত্র প্রচেষ্টাতে মায়ের চোখ আঁকেন তাঁরা। সেদিন একটি ভিডিও দেখলাম, যেখানে শিল্পী চক্ষুদান করছেন। যেন মা নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নিজের চোখ সবার সামনে প্রকাশ করছেন। আমরা যারা দেখি, তাদের গায়ে কাঁটা দেয় কিন্তু যিনি আঁকছেন, তাঁরা তখন কি ভাবেন ? তাঁদের মনে ভয় হয় ? বা চিন্তা ? যদি একটু ভুল হয়ে যায় ? কি গুরুদায়িত্ব বলুন তো। আমি অবাক হয় যাই, বিশেষত ত্রিনয়ন যখন মায়ের মুখে ফুটে ওঠে। এইভাবে মায়ের প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাথে সাথে আগমনীর সুর বেজে ওঠে। আর এই আগমনীর সুরে মেতে ওঠে সবাই। শুরু হয় কোনায় কোনায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। পাড়ায় পাড়ায়, বিভিন্ন সোসাইটিতে নাটক, গীতিআলেখ্য, নৃত্যনাট্য, গান, আবৃত্তিতে সবাই অংশগ্রহণ করেন। আর সবচেয়ে ভালো লাগে সবার অংশগ্রহণের ইচ্ছা। দূর্গার অসুর বধের নাট্য রূপ যেমন দেখতেও ভালো লাগে, তেমন যাঁরা অংশগ্রহণকারী তারাও মজা পায় ভারী। সাথে খাওয়া দাওয়া তো আছেই।


ছোটবেলায় মহালয়া মানে শুধু বুঝতাম একটা দিন ছুটি, সকালের দূরদর্শন দর্শন আর দুপুরে খুব ভালো খাওয়া দাওয়া কিন্তু এখন মহালয়া মানে ঠাকুর দেখা শুরু। কোলকাতাতে এখন অনেক প্যান্ডেলের উদ্বোধন শেষ। অনেকে ঠাকুর দেখাও শুরু করে দিয়েছেন। কলকাতা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে জীবন্ত ও উৎসবমুখর। পুজো ভালো কাটুক।  আজ খুব কম লিখলাম, লিখবো আরো। হাতে সময় থাকলে খুব শিগগিরই লিখবো।


🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔺🔻

Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

No comments:

Post a Comment

Thanks for reading the post and if you like it then don't forget to fill a comment and send that to me .