।।প্রথম পাতা ।।
ছোট্টবেলার রং গোটা দুই চার,
আসনে মোড়া দুপুরের আহ্লাদ
স্টীলের গেলাস, সাথে প্রেসার কুকার
গরম মাংস, ডাল আর আলু সেদ্ধ ভাত ||
যখন ছোট ছিলাম কোনোদিন ভাবিনি ছোটবেলা কে ফিরে পাওয়ার জন্য এতটা বেপরোয়া অনুভব করবো। তখন তো মাকে অনুকরণ করে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে চাকরী করার ভান করতাম। কখনো ডাক্তার বা কখনো শিক্ষিকা হয়ে বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে চাকুরীরত ও স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চাইতাম। অপেক্ষা ছিল শুধু বড় হওয়ার। কে জানতো এখন মরীচিকার মতন মনে হবে ছোটোবেলাকে।
আমাদের বাড়িতে আমরা চার জন ছিলাম। আমি , দিদিভাই, মা ও পাপা। সারা সপ্তাহে দেখতাম দুজন একে অপরকে পাল্লা দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে , আমাদের পিছনে অগুন্তি সময় দিয়ে দৌড়ে বেড়াতো। কখনো পাপাকে দেখতাম মায়ের ভূমিকা পালন করতে আবার কখনো মাকে দেখতাম উল্টো টা করতে। আমরা দুই বোন স্কুলে চলে যেতাম। দিদিভাইয়ের সকালে স্কুল থাকতো, আমার ঘুম থেকে ওঠার আগেই ও চলে যেত স্কুলে, তারপর মা তাড়াহুড়ো করে ঘরের কাজ সামলে, স্কুল এ চলে যেত আর তারপর আমি স্কুল এ চলে যেতাম। সপ্তাহ এইভাবেই চলে যেত। ছোট ছিলাম, তারিখের হিসাব ছিল না, না ছিল সময়ের গুরুত্ব বোঝার মতন বয়স। দিন এইভাবেই কাটতো।
অপেক্ষা থাকতো রবিবারের। রবিবারের দুপুর বেলাটার। সকাল থেকেই শুধু রান্নাঘর থেকে সুস্বাদু খাবারের গন্ধ পেতাম আর কি একটা কৌতূহল হতো মেনু নিয়ে। আমার পাপা দুর্দান্ত রান্না করেন। পাপার রাঁধা মাংস খাওয়ার জন্য অনেকেই অনুরোধ করতো । যাই হোক, এটা আমাদের দুই বোনের অগোচরে থাকতো না যদি মেনুতে মাংস হতো। কারণ ,পাপার ফোঁড়নের সুগন্ধ অন্য লেভেলের। টের পেতাম ই। আর রবিবার মানে মাংস এটাও স্বাভাবিক ছিল। দুপুরে আমাদের চারজনের একসাথে খাওয়া টা এখন শুধু একটা মিষ্টি স্মৃতি। যদি এমন হতো বেশ পুরোনো স্মৃতি গুলোকে যখন ইচ্ছে একবার করে ঢুঁ মেরে আসা যেত, নাহঃ , তাহলে কি আর তার মর্ম এতো দামি হতো ? হতো না তাই না ?? নিঃসন্দেহে হতোনা।
Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy
কষানোর শেষের আর জল ঢালার ঠিক আগের মুহূর্তের স্বর্গীয় গন্ধটা নাকে আসলো...
ReplyDeleteha ha ha ... dhonnobaad
Delete