Saturday, 30 September 2017

রুপাই ও সাজু



পাহাড়ের দেশে বসে রূপকথা লিখেছিলাম,
ভেবেছিলাম রুপাই আর সাজু হবো 
নক্সী  কাঁথার মাঠ  পেরিয়ে সাত সমুদ্র তেরো  নদী পার হবো 
চিঠির পৃষ্ঠায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিব্যক্তি 
আর পোস্ট অফিসের  লাইনে  ছিল অমৃতসার  
ফুরোলেই গল্প যেত  হারিয়ে। 
ও যে কিসের তাড়া , পালিয়ে বেড়ায় 
রূপকথার মুক্ত এক এক করে যায়  গড়িয়ে 
মালা হতে থাকে শূন্য 
রুপাই ও সাজু ক্রমে হতে থাকে ছিন্ন। 



ছবি : গুগল 


Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

Friday, 29 September 2017

বিপর্যয়



দেখেও দেখোনা হায় ,
ওযে ভীষণ ই বিপর্যয় ।।

চোখের উপরে পর্দা মোড়া ,
বিশ্বাসের মালা  সরিয়ে তবুও -
দেখেও দেখোনা হায় ,
ওযে ভীষণ  ই বিপর্যয় ।।
দম্ভের জোরে যখন জীর্ণ হয় সাদামাটা প্রাণ 
তখনও  তুমি দেখতে পারোনা  প্রকাশ্য  অপমান ,
দেখেও দেখোনা হয়,
এযে  সত্যি বিপর্যয় 
বলি এক  খাঁটি  কথা ,যদি বুঝতে রাজী  হও ,
চোখের উপর  হতে অন্ধ পর্দা  খুব  শিগগির সরাও 
পক্ষে-বিপক্ষের  দাঁড়িপাল্লা  থেকে পারো যদি নিজেকে সরাতে ,
তোমার উচিত বুদ্ধির জোরে  তুমিই  পারবে তোমাকে বোঝাতে 





Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

সরগমের খোঁজে,

অনেকবছর পর যখন ফুল ফুটছিল ,
ভেবেছিলাম এটাই আসল বসন্ত 
অলীক  ভাবনার মেঘে গা ভাসিয়েছিলাম আমি 

সত্যি বলতে হারানো একটা সুর খুঁজে পেয়েছিলাম আমি 
মনে হচ্ছিলো হ্যাঁ এটাই সঠিক সরগম 
কিন্তু সময় পাষাণসম , খুব নির্মম 
ফোটা ফুলটাও ঝরে যায়  বারে  বারে 
ফুল সুন্দর থাকে না,
মেঘ উড়ে যায়, চলে আসে প্রখর রৌদ্র 
গা জ্বলতে থাকে , কষ্ট হয় 
অবিশ্বাস্য ও  সত্যি  হতে থাকে 
ভেঙে যায় আদরের আস্তানা 
 বৃষ্টি  পড়তে  থাকে অঝোরে 
বৃষ্টি আর থামে না।।





Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

Wednesday, 27 September 2017

নিস্তব্ধ প্রলয়






পোস্টার : সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন 










লিখেছিলাম বন্ধু তোমায় , 
মনের গভীর সংশয় !
তুমি বলেছিলে , সব ঠিক হয়ে যাবে। 
বলেছিলাম বন্ধু তোমায় ,
আমার মনের নিস্তব্ধ  প্রলয় !
তুমি বলেছিলে, সব দেখে নেওয়া যাবে। 
সময় গড়িয়ে যায় , মুহূর্ত  হয় শেষ ,
হাসি কান্নার চোরাবালিতে পরিস্থিতি 
চাপা পড়ে যায় ঠিকই ..
হৃদয়ে থেকে যায় রেশ। 
চাওয়া না পাওয়ার মূক অভিমানে 
সীমারেখা চলে বেড়ে ,
সাতকাহনের একটি কাহন 
হারিয়ে যায় মানুষের ভীড়ে।।







Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

Monday, 18 September 2017

ছোট্টবেলার রং গোটা দুই চার - দ্বিতীয় পাতা

।। দ্বিতীয় পাতা ।।






ছোট্টবেলার রং গোটা দুই চার,

স্কুলের গেট ,মায়ের হাত , ভালোবাসার আঁচ  
আমার অপেক্ষার  "বিপুল ভান্ডার " , আর
টিউনিক , টাই পরা  সপ্তাহের  দিন পাঁচ ।।






 যখন  ক্লাস থ্ৰী  তে , তখন মার সাথে  স্কুলের জন্য বেরোতাম, আমার নির্ধারিত সময়ের  অনেকক্ষন  আগেই যদিও পৌঁছে যেতাম, তাও বেরোতাম কারণ মার সাথে স্কুলে যাওয়া  তার আগে আমার হতো না। আমাকে আমার স্কুলে ছেড়ে দিয়ে  মা চলে যেত মার স্কুলে।  আর আমি  মাকে হাত নাড়িয়ে টাটা করতে থাকতাম  যতক্ষণ মা দৃষ্টিগোচর  না হয়ে যেতেন  , তাতে একটা আলাদা সুখ ছিল।  আমার স্কুলের উল্টোদিকে বিপুর কাকুর মুদি দোকান ছিল।  'বিপুল ভাণ্ডার ' । বিপুল কাকুর বাবা (আমি দাদু বলে ডাকতাম) আমাকে অনুকরণ করে  হাত নাড়িয়ে মার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে টাটা করতেন। আর  বাঁকা  চোখে আমার দিকে চেয়ে চেয়ে মিটি মিটি হাসতেন।  উনি আমার কাঁদো কাঁদো মুখটাকে  হাসিমুখ  করতে চাইতেন।  আমি হেসেও ফেলতাম। তারপর আমি যা করতাম, অবিকল অনুকরণ করতেই থাকতেন।  আর আমি হেসে যেতাম।  এইভাবে অনেক্ষন কাটতো স্কুলের গেটে।  তারপর স্কুল খুলে গেলে  আমি ঢুকে যেতাম।  আজ অনেক বছর হলো উনি নেই।  প্রায় ১০-১২ বছর হবে।  কিন্তু মাঝে মাঝে দাদুর কথা ভাবলে বেশ মজা লাগে।  

ছোট্টবেলা টা  কি মিষ্টি ছিল  :)




Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

Friday, 15 September 2017

ছোট্টবেলার রং গোটা দুই চার - প্রথম পাতা

।।প্রথম পাতা ।।
Pinterest



ছোট্টবেলার রং গোটা দুই চার, 

আসনে মোড়া দুপুরের আহ্লাদ 
স্টীলের গেলাস, সাথে প্রেসার কুকার 
গরম মাংস, ডাল আর আলু সেদ্ধ ভাত ||








যখন ছোট  ছিলাম  কোনোদিন ভাবিনি ছোটবেলা কে  ফিরে পাওয়ার জন্য এতটা  বেপরোয়া  অনুভব  করবো।  তখন তো  মাকে অনুকরণ  করে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে  চাকরী  করার ভান করতাম।  কখনো ডাক্তার  বা কখনো শিক্ষিকা  হয়ে  বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে চাকুরীরত ও স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চাইতাম। অপেক্ষা ছিল শুধু  বড়  হওয়ার।  কে জানতো এখন মরীচিকার মতন মনে হবে ছোটোবেলাকে।  

আমাদের বাড়িতে  আমরা চার জন ছিলাম।  আমি , দিদিভাই, মা ও পাপা। সারা সপ্তাহে দেখতাম দুজন একে অপরকে পাল্লা দিয়ে  অক্লান্ত পরিশ্রম করে , আমাদের পিছনে  অগুন্তি সময়  দিয়ে দৌড়ে বেড়াতো। কখনো  পাপাকে  দেখতাম  মায়ের  ভূমিকা পালন করতে আবার কখনো মাকে দেখতাম  উল্টো টা  করতে।  আমরা  দুই বোন স্কুলে চলে যেতাম।  দিদিভাইয়ের সকালে স্কুল থাকতো, আমার ঘুম থেকে ওঠার আগেই ও চলে যেত স্কুলে, তারপর মা  তাড়াহুড়ো  করে ঘরের কাজ সামলে, স্কুল এ চলে যেত আর তারপর আমি স্কুল এ চলে যেতাম।  সপ্তাহ এইভাবেই চলে যেত। ছোট ছিলাম, তারিখের হিসাব ছিল না, না ছিল  সময়ের গুরুত্ব বোঝার মতন  বয়স।  দিন এইভাবেই কাটতো। 


অপেক্ষা থাকতো রবিবারের।  রবিবারের দুপুর বেলাটার।  সকাল থেকেই  শুধু রান্নাঘর থেকে সুস্বাদু  খাবারের গন্ধ পেতাম আর কি একটা কৌতূহল হতো মেনু নিয়ে। আমার পাপা  দুর্দান্ত রান্না করেন।  পাপার রাঁধা মাংস  খাওয়ার  জন্য অনেকেই  অনুরোধ করতো ।  যাই হোক, এটা আমাদের দুই বোনের অগোচরে  থাকতো না  যদি মেনুতে মাংস হতো।  কারণ ,পাপার  ফোঁড়নের  সুগন্ধ অন্য  লেভেলের।  টের পেতাম  ই। আর  রবিবার মানে মাংস  এটাও  স্বাভাবিক ছিল।  দুপুরে  আমাদের চারজনের  একসাথে  খাওয়া  টা  এখন শুধু একটা মিষ্টি স্মৃতি।  যদি এমন হতো বেশ পুরোনো স্মৃতি গুলোকে  যখন ইচ্ছে একবার করে ঢুঁ  মেরে আসা যেত, নাহঃ , তাহলে কি আর তার মর্ম  এতো দামি হতো ? হতো না তাই না ?? নিঃসন্দেহে  হতোনা। 



Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

Thursday, 7 September 2017

Puducherry - a slice of France in India

Life is unpredictable. Even few months ago, I could never imagine of visiting Pondycherry (Puducherry) again. I mean, yes from Bangalore it is pretty near but still, had no plan to visit Puducherry until my Ma knocked me again. Truly saying, I loved Prondycherry even in 2007 when I visited it for the first time but I was not sure to get a good company to cherish India's French city the way I always wanted. And by God's grace, I have inherited this particular habit of enjoying trips from my Ma. She loves travelling and thus I do. So why waiting, we just planned and made a mother-daughter short trip.


So, I know this post may sound synonymous to many other posts on Pondy but still, after a looong break thought to write about the trip as it was very special to my heart. It was coincidental that exactly after 10 years we revisited the same place. Sept, 2007 and Sept, 2017. We were excited more to match our old photos with the new ones to be taken. Only my didibhai (Elder sister) was missing though this time. We expected Pondy to be very hot but thankfully it didn't turn out to be like that. Weather was humid but yes heat was tolerable. We stayed in Aurobindo Ashram's guest house as we wanted that to happen. We wanted to feel the silence even more. Let me tell you, if you want to meditate or ready to follow some disciplines and maintain silence throughout, please go for Ashram's guesthouse. Else yes, there are various choices to have your comfort too. I am basically a peace seeking person and a person who loves nature. Fortunately, our room had one balcony with plenty of flower plants and a big Neem tree was right in front of us. Everytime, I could see some or other birds coming, sitting and chirping in a tune. I loved it totally. Another one big reason to love Pondicherry is the visual delight I get to see at Pondy. Clean roads shadowed by Big trees. Greens covering deep blue sky and the French architectures, neatly designed doors and of course the Sea. Cleanliness and less population make this tiny city even more beautiful. 

So when you go in Pondy, first few things to do are to visit the places which you have already in mind. Please check Tripadvisor to get some ideas and then to walk around the city or ride cycle or scooty to explore even more. We both loved walking the streets and lanes in the evening and appreciating the beauty of French homes. Having some snacks or tea at Le Cafe is pure bliss. I swear, you won't get such view in any other cafes near Rock Beach. The oldest and the cheapest I guess. Check Zomato to read reviews. I loved their service. In spite of having huge rush, they were serving their best. 

Then, if you have any plan to go to Auroville, please check the timings before you start your trip. Read the timing here. It is approx 15kms from Puducherry city and Matrimandir. So start fast and experience the beauty of nature and the Auro beach too.

For me, this trip was different than any other trips. Even before, me and ma, only we both made trip together but this trip made me so emotional that while leaving I was not at all ready to leave. One thing I realized, that sometimes it is must to go out with your parents and spend a real quality time. Because time flies, we grow up and they age. Since Kindergarten days, my ma has been that one person, with whom I have to talk daily and share my day. Even in college when I stayed far from her, I could not stop myself from talking at least once a day and same is applicable now too. Though due to work and other engagements this days we tend to give less time to our parents, but it is must to remember that even they need us .. thus this trip was special... 



Rock Beach

Immaculate conception cathedral

watching Sunrise is must


Auroville


Matrimandir - Auroville 
Auro beach












 Pardon - if any typos are there .. :)