Friday, 28 October 2016

Rabindrik Nritya & Bishnupriya Manipuri


The first thing every other Bengali child has done in life is to act on Tagore's song, drama or any other musicals. Be it Geeti Natyas, Nrtiya Natyas or Rabindrik Solo or group dance. It is inevitable that the aura of Rabindrik Nritya is different. The dance movements are soft, lyrical and very calm to watch. I know, every other dance students would know about it but today while going through some articles on Tagore, found some interesting facts which I would love to share here.

Wednesday, 26 October 2016

Indian Dance and Ballet

Dance drama & Opera - Ballet, both speak some stories via dance. In dance drama, the impact of music plays a pivotal role because music and lyrics together form the life of it whereas in Opera-Ballet use of the vocals are significant. Rabindranath Tagore was highly inspired by the beauty of Opera during his England visit and the result we have seen. We have got various Gitinatyas in Bengali history of Arts and Music. Not only the gitinatyas, but the Nritya Natyas (Dance Dramas) of Tagore also ilustrated the mixed flavor of East and West. It clearly showed his inspiration and aspiration for Opera - Ballet. Though Opera signifies its beauty via songs & Ballet via dance. both have Music in the utmost importance.


Wednesday, 19 October 2016

প্রবাসে লক্ষী পুজো।





দূর্গা পুজো তো হৈ হৈ করে কাটলো। এরপর ভাবনা ছিল লক্ষী পুজো নিয়ে। লক্ষী পুজোর সাথে একটা অন্যরকম ঘরোয়া আত্মিক যোগ আছে আমার। ছোট্টবেলা থেকে মার বাম হাত হিসেবে এই লক্ষী পুজোতে আমার বিশেষ ভূমিকা থাকতো। তাই , লক্ষি পুজোর দিন পাঁচালি পড়বো না, এটা জাস্ট ভাবতে পারিনি। ভাবলাম লক্ষী পুজোটা সেরেই ফেলি। কিন্তু ওই যে ভাবলে তো হবে না ।করতেও হবে ভাবনাকে সফল। এখানে তো আর আমার পাপা নেই, যে দশকর্মার ফর্দ আর পূজা সামগ্রীর লিস্ট ধরিয়ে দিলাম ব্যাস হাতের কাছে এসে পড়বে সব ঝোটাকসে । আমি যখন নিজেই আমার এখানের ছোট্ট বাড়ির হর্তা কর্তা বিধাতা, এই পুজোর আগ্রম বাগ্রাম ও আমাকেই কিনতে হবে। এবার হলো, কান্নাডাতে দশকর্মা কেনার পালা। ঠাকুর ও। অনেক কষ্টে, কলকাতা ধাঁতের ঠাকুরের একটা ফটো জোগাড় করলাম। ধান কে Dhanya , অম্রপল্লব কে Mavena elle, দূর্বা কে Garike বলে বাকি যাবতীয় সামগ্রীও জোগাড় করেই ফেললাম (ক্রেডিট : আমার কান্নাডিগা টীম মেট এর)। পাঁচালিটা আগের দিন অনলাইন থেকে প্রিন্ট করিয়েই  নিয়েছিলাম। এবার ছিল ঠাকুর কে মিষ্টি দেওয়ার পালা। অসম্ভব লাকি মনে হয় নিজেকে, যখন ভাবি বাড়ির পাশেই "তৃপ্তি সুইট্স - বাঙালি মিষ্টান্ন ভান্ডার " নামের একটা দোকান আছে। সীতাভোগ, মিহিদানা, কালাকান্দ আর মিষ্টি দই কিনে ফেললাম আর কি।
আলপনাও আঁকলাম ছোট্ট করে। ব্রাহ্মণ পুরুত পেলাম না ঠিক ই। কিন্তু, মা এতেই সন্তুষ্ট হবেন। হবেন না বলুন ? যাই হোক. সন্ধ্যে বেলাতে পূর্ণিমার গোল চাঁদ দেখতে দেখতে যখন নিজের বানানো খিচুড়ি, আলুর দম আর বেগুন ভাজা খাচ্ছি, তখন একটা জিনিসের কথাই মনে পড়ছিলো। গুড়ের নাড়ু।  নাড়ুর গুড়কে কোন vellam এর ক্যাটাগরি তে ফেলবো সেটা জাস্ট বোঝা হয়ে উঠলো না। নইলে হয়তো ষোলো কলা পূর্ণ হতো।





Posted By Debarati Datta Read about me here blogging since 2011 Copyright © Debarati Datta Privacy Policy

Monday, 10 October 2016

রং বদলানো পুজো - পঞ্চম অংশ - প্রবাসে পুজো



 ।। শুভ বিজয়া দশমী ।।


ভেবেছিলাম আগের পোস্টটাই শেষ ছিল। সেই বিচার বিবেচনা নিয়ে ওটাতে উল্লেখ করেওছিলাম যে রং বদলানো পুজো সংখ্যাটার সমাপ্তি হয়েছে । কিন্তু সেটা হলো না। কারণ ইচ্ছে হলো শেষটা বিজয়া দশমীর দিনই করি। আমি এখন মুম্বাইতে বসেই এই পোস্টটা লিখছি। মুম্বাই আসা অব্দিও ভাবিনি এতটা আনন্দ পাবো। কলকাতার বাইরে দূর্গা পূজার জাঁকজমক কেমন তার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আইডিয়া ছিলোনা। কিন্তু বাস্তবে আমার সেই ধারণা ভাঙলো। মুম্বাইতে এতো দূর্গা পুজো হয় জানতাম না। আর তাও এত নিষ্ঠা মেনে হয়, সেটাও জানতাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার বন্ধু রাজাকে আমাকে মুম্বাইতে নিমন্ত্রণ করার জন্য। কলকাতা না যেতে পাড়ার দুঃখকে এই ভাবে কাটিয়ে উঠতে পারবো, ভাবিনি।


Friday, 7 October 2016

রং বদলানো পুজো - চতুর্থ অংশ - এখন বড়ো হয়ে গেছি


।। শুভ মহাসপ্তমী ।।

বেশ তো গেলো ছোটবেলার পুজোগুলো। এবার হলো গিয়ে চাকুরীজীবি হিসেবে পুজো উপভোগ করার সময়। পুজোর হিড়িকে যদিও কোনো ভাঁটা পড়েনি আজ অব্দি, কিন্তু চাকুরী করলে যা হয় আর কি। দায়িত্বের বোঝাতে অজুহাত মাথা চারা দেয় না। কোলকাতাতে যতদিন চাকরি করেছি ,ততোদিনও এই চতুর্থী, পঞ্চমী,ষষ্ঠী কম্পিউটার এর সামনে বসে অফিস করার দুঃখ ,মনের আকস্মিক উদ্বেগ গুলোর বেলুনে আলপিন ফোঁটাতো বারবার । কিন্তু আমি থেমে থাকার মানুষ নই। ঠাকুর তো দেখতেই হবে।  তাই পুজোর রং বদলের একটা নতুন ধারা শুরু হলো। পঞ্চমী, ষষ্ঠী অফিস করে তারপর মা কে নিয়ে ঠাকুর দেখা। অফিস টা শেষ হওয়া মাত্রই দে ছুট। আর বাঁধাধরা শুরু হতো, দমদম পার্ক দিয়ে এবং শেষ হতো ওই শ্রীভূমি, লেকটাউন ও উল্টোডাঙ্গার সব ঠাকুর দেখে। আরো একটা নতুন জিনিসের আগমন হয়েছিল মেনু তে আর সেটা হলো , ষষ্ঠির লাঞ্চ। অফিস এর সেজেগুজে যাওয়া আর দুপুরে জমিয়ে খাওয়া। খেতে আমি প্রচন্ড ভালোবাসি আর এই সেজেগুজে পেট ভোরে ভালো মন্দ খেয়ে কাজ কে ৪ দিনের জন্য টাটা করতে যে কি মজাই হতো। তারপর তো বাকি প্ল্যান গুলো হতোই। সবার সাথে ঠাকুর দেখা, মণ্ডপে আড্ডা মারা আর শাড়ী পরে অঞ্জলি দেয়া। তারপর আমার প্রিয় বান্ধবীদের সাথে এনতার ছবি তোলা।

***

Thursday, 6 October 2016

রং বদলানো পুজো - তৃতীয় অংশ - তখন সদ্য ডানা মেলতে শিখেছি




।।শুভ পঞ্চমী ।।

স্কুল শেষ করার সাথে সাথেই পুজোর রং আবার বদলে গেছিলো । কিছুটা। তার মধ্যে একটা অন্যতম  সংযোজন ছিল পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পুজোর আগের উদ্দীপনাগুলোকে উপভোগ না করতে পারার কষ্ট। দুর্ভাগ্যবশতঃ এমন এক জায়গাতে এডমিশন নিয়েছিলাম যেখানের সংস্কৃতি আর আমার নিজের সংষ্কৃতির মধ্যে বিন্দু মাত্র মিল ছিল না। কারণ অষ্টমীর দিন সরস্বতী পুজো হতো সেখানে। মনে আছে ২০০৭ এ আমি সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে  সেকেন্ড ইয়ারের সেমেস্টার লিখতে যাই , তাও আবার নতুন জামা পরে। কেঁদে কেটে চোখের জল ভাসিয়ে। সেই অনুভূতি চরম বেদনাদায়ক ছিল বটে। কিন্তু ভগবানের কৃতার্থে, কলেজে পড়াকালীন আর আমাকে এই দূর্গা পুজো কে দূরে সরিয়ে রাখতে হয়নি। পুজোর আগের শরৎ কাল আর পুজো আসছে এই ব্যাপারটাকে মনে পড়তো ঠিকই , কিন্তু দীর্ঘ লাইনের পর দাঁড়িয়ে তৎকালে চেন্নাই-হাওড়া, করমণ্ডল বা এগমোর এক্সপ্রেসের টিকিট পেয়ে গেলে যেই আনন্দের চরম পর্যায়ে পৌঁছতাম, সেটা অনবদ্য। আবার এমনও হয়েছে, প্লাটফর্ম এ জানতে পেরেছি ওয়েটিং লিস্ট ৭০ থেকে সোজা টিকিট কনফারমড। এই কিছু কিছু নতুন উত্তেজনা নতুন করে যোগ হয়েছিল। বলা যেতে পারে, কলকাতার পুজো কি জিনিস তখন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম। যাই হোক সেই কথা।



Wednesday, 5 October 2016

রং বদলানো পুজো - দ্বিতীয় অংশ - তখন একটু বড়



।। শুভ চতুর্থী ।।


যাই হোক। কালকের লেখাটার পরে আজ তাহলে লিখি পুজোর প্রথম বদলের প্রসঙ্গে। ছোট্টবেলার পুজো টা একইরকম কেটেছিল এই ক্লাস থ্রী - ফোর অব্দি। মানে যেটার ব্যাপারে কাল লিখলাম আরকি। তারপর একটা বদল এসেছিলো আর সেটা চলেছিল পুরো স্কুল পড়াকালীন অব্দি। বদলটার একটা অন্যতম কারণ ছিল আমাদের ঠিকানার পরিবর্তন। হ্যাঁ, দুঃখের ঘটনা ছিল বটে কারণ, প্যান্ডেলের চূড়া দেখাটা বন্ধ হয় গেছিলো আমার আর দিদিভাই এর। কিন্তু এই নতুন পুজোর গন্ধ টাও বেশ মজার ছিল। তখন একটা নতুন সংযোজন হয়েছিল এই আসন্ন পুজোর গন্ধে। আমাদের দুই বোনকে নিউ মার্কেট নিয়ে গিয়ে পছন্দ মতন পুজোর জামা কিনে দেয়ার নতুন রীতি , আর সেটা সেই যে শুরু হয়েছিল আর থামেনি। ছোট্টবেলাতে মা নিয়ে আসতো , আমরা শুধু প্যাকেট খুলতাম। এবার দোকানে গিয়ে এটা ওটা চাই বলার একটা সুন্দর সুযোগ করে দিয়েছিলো মা, পাপা।  তা, এই পুজো আসার এক দেড় মাস আগে থেকে যখন শুনতাম কোনো ছুটির দিন মা, পাপা প্ল্যান করছে পুজোর জামা কেনার, ব্যাস মন খুশ। মানে পুজোআসছে ।


****

Tuesday, 4 October 2016

রং বদলানো পুজো - প্রথম অংশ - তখন একদম ছোট্ট



।। শুভ তৃতীয়া ।।

কিভাবে শুরু করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। পড়তে পড়তে আবার এরকম না মনে হয় খুব একটা ঘ্যানঘ্যানে পোস্ট। বা এরকম না মনে হয়, যে এতো গতকালের অর্পিতা পালের লেখা থেকে ঝাপা। সত্যি বলতে অনেক দিন ধরেই মনে হচ্ছিলো এরকম একটা কিছু লিখবো , হয়ে উঠছিলো না জাস্ট।  কাল অর্পিতা পালের আনন্দবাজারের লেখাটা পরে বেশ নাড়াচাড়া পড়লো। মনে হলো নাহ লিখেই ফেলি। মনে হলো, ঠিকই তো পুজোর রং তো বদলায় বছরের পর বছর। ছোটবেলার পুজোর সংজ্ঞা এখনের পুজোর সংজ্ঞার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। দিনের পর দিন সব বদলেছে। তাই ভাবলাম , একটু একটু করে আমার নিজের কিছু স্মৃতি যদি এখানে লিখতে পারি ব্যাপারটা মন্দ হয়না ।সত্যি বলতে, এই যে ব্যাপারগুলো ভাবছি তাতেও যেন আনন্দ হচ্ছে।তাহলে আবার কি ? পড়ুন। হয়তো আমার নিজস্ব কিছু স্মৃতির সাথে আপনারাও নিজের স্মৃতিও খুঁজে পাবেন।

 আমার প্রথম পুজো তো অবশ্যই মনে নেই।কিন্তু এই ক্লাস ওয়ান বা ক্লাস টু এর পুজো গুলো মনে পরে।তখন আমরা থাকতাম অন্য একটা পাড়াতে।সেই স্মৃতি গুলোর স্বাদটা আলাদা আর অবশ্যই আর ফিরে আসেনি। মনে আছে, পুজোর আগের এক মাস থেকে মার  মধ্যে একটা তোলপাড় দেখতে পারতাম। ঘর পরিষ্কার করার তাগিদ ।নতুন জামা কেনার তাগিদ। গিফট কেনার তাগিদ। নতুন সারিতে ফল লাগানোর তাগিদ। স্কুলের অর্ধ বাৎসরিক পরীক্ষার খাতা দেখার তাগিদ। সব রকমের তাগিদ। তারপর আসতো মহালয়া। ছোটবেলাতে সত্যি রেডিও তে কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না।জানতাম ও না বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র কে ? কিন্তু দূরদর্শনে সংযুক্তা ব্যানার্জী কে মা দূর্গা রূপে দেখতে খুব ভালো লাগতো। ভাবতাম দূর্গা ঠাকুরকে মনে হয় এরকমই দেখতে। পুজোর ছুটি, পুজোর হোমটাস্ক, নতুন জামা, নতুন জুতো, নতুন ক্যাপ ফাটানোর বন্দুক আর টিভিতে ছুটি ছুটি এর বিজ্ঞাপন মিলিয়ে একটা অন্যরকম আনন্দ হতো ।